Wellcome to National Portal
সমাজসেবা অধিদফতর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ জুলাই ২০২৫

পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম

পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রম দেশের পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দুঃস্থ, অসহায়, অবহেলিত, অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রমের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ/দারিদ্র্য বিমোচনের সূতিকাগার এবং পথিকৃৎ হিসেবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে সূচনা করে এক নতুন ও বর্ণিল ইতিহাস। পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সূত্রপাত। এ কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে সূচনা করে এক নতুন ও যুগান্তকারী ইতিহাস।

 

সমাজসেবা অধিদপ্তর ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে তৎকালীন ১৯টি থানায় ‘পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম’ শুরু করে। এর সফলতার আলোকে ১৯৭৭ সালে আরও ২১টি থানায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম ২য় পর্বে (১৯৮০-৮৭) ১০৩টি উপজেলায়, ৩য় পর্বে (১৯৮৭-৯২) ১২০টি উপজেলায়, ৪র্থ পর্বে (১৯৯২-৯৫) ৮১টি উপজেলায়, ৫ম পর্বে (১৯৯৫-২০০২) ১১৯টি উপজেলায়, ৬ষ্ঠ পর্বে (২০০৪-০৭) ৪৭০টি উপজেলায় এবং বর্তমানে এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সকল উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত ভূমিহীন, দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে বিভিন্ন কর্মদলে সুসংগঠিত করা হয়ে থাকে এবং সুদমুক্ত ক্ষুদ্র পুঁজি প্রদানের মাধ্যমে উৎপাদনমূলক ও আয়বর্ধক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করে দেশের সকল প্রকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

 

উদ্দেশ্য

 

এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত ভূমিহীন, দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসরত জনগোষ্ঠির মধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও আয়বর্ধক কর্মসূচিতে তাঁদের সম্পৃক্ত করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মোট ১৬ সদস্য বিশিষ্ট পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি (ইউপিআইসি) উপজেলা পর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

 

পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি:

  • কার্যক্রম প্রথম শুরু                                      : ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ
  • আওতাভুক্ত উপজেলা সংখ্যা                           : ৪৯৫ টি
  • সর্বমোট প্রাপ্ত বরাদ্দের পরিমাণ                        : ৬৬৪ কোটি ৯৭ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা
  • ক্ষুদ্রঋণ হিসাবে সর্বমোট বরাদ্দের পরিমাণ           : 655 কোটি 70 লক্ষ টাকা
  • ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ       : ৬৫৪ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৩৩ টাকা
  • মূল অর্থ আদায়ের পরিমাণ                             : 5৭9 কোটি 81 লক্ষ 96 হাজার 812টাকা
  • মূল অর্থ আদায়ের হার                                  : 8৮%
  • ক্রমপুঞ্জিত পুনঃবিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ       : 1664 কোটি 47 লক্ষ 77 হাজার 425টাকা    
  • ক্রমপুঞ্জিত পুনঃবিনিয়োগের অর্থ আদায়ের হার     : 9৩%`
  • আদায়কৃত মোট সার্ভিস চার্জের পরিমাণ             : 18৩ কোটি ১৫ লক্ষ 43 হাজার 419টাকা
  • প্রাপ্ত ব্যাংক সুদের পরিমাণ                             : ৪6 কোটি 2৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৮৯ টাকা 
  • উপকারভোগীদের ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের পরিমাণ       : 15 কোটি 84 লক্ষ 35 হাজার টাকা
  • শুরু হতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা                : 35 লক্ষ 5 হাজার  টি পরিবার
  • বর্তমান ঋণগ্রহীতার সংখ্যা                             : ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৭৬ টি পরিবার
  • সদর দফতরসহ সকল ইউনিটের পরিচালন ও প্রশিক্ষণ ব্যয় : ৯.২৭ কোটি টাকা
  • ২০2৪-202৫ অর্থ বছরের বাজেটে ‘পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রম’ খাতে ৩০.০০ কোটি টাকার বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। উক্ত অর্থ হতে ২৯.২৩ কোটি টাকা ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে বিতরণের জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেট: ৩০.০০ কোটি টাকা

 

সেবা:

  • দরিদ্র জনগণকে সংগঠিত করে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা;
  • দারিদ্র  বিমোচন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন;
  • সচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন;
  • পরিবার প্রতি সর্বনিম্ন ৫,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ 5০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণ;
  • আদায়কৃত সার্ভিস চার্জের অর্থ দিয়ে লক্ষ্যভূক্ত ব্যক্তিদের টেকসই সংগঠন সৃষ্টি ও গ্রাম সমিতি’র নিজস্ব পুঁজি গঠন।
  • দলীয় সঞ্চয় কার্যক্র্রমের মাধ্যমে নিজস্ব পুঁজি গঠন।

 

সেবা গ্রহীতা:

  • নির্বাচিত গ্রামের বাসিন্দা;
  • পল্লী সমাজসেবা কর্মদলের দলীয় সদস্য;
  • যে সদস্যের পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত (দরিদ্রতম) ‘ক’ শ্রেণি
  • পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৫০,০০১ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত (দরিদ্র) ‘খ’শ্রেণি
  • পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৬০,০০১ টাকার ঊর্ধেব (দারিদ্র্যসীমার ঊর্ধে) ‘গ’ শ্রেণি
  • ‘ক’ ও ‘খ’শ্রেণি ক্ষুদ্রঋণসহ অন্যান্য সেবা এবং গ শ্রেণি সুদমুক্ত ঋণ ব্যতীত অন্যান্য সামাজিক সেবা;

 

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ:

কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে একজন অতিরিক্ত পরিচালক, একজন উপ-পরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক, ২ জন উপ-সহকারী পরিচালক, ১ জন সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে ৪৯৫ জন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও সহকারী সমাজসেবা অফিসার এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট।

 

বিভাগীয় পর্যায়ের ৮ জন পরিচালক, ৮ জন অতিরিক্ত পরিচালক, ৮ জন উপপরিচালক, ৮ জন সহকারী পরিচালক এবং জেলা  পর্যায়ের ৬৪টি জন উপ-পরিচালক ও ১০৪ জন সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। উপজেলায় পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কার্যক্রমটির বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির যথাক্রমে সদস্য-সচিব ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও কারিগরি প্রশিক্ষকগণ গ্রাম পর্যায়ে সেবা গ্রহীতাগণের সাথে সরাসরি কাজ করে থাকেন। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী সমাজসেবা অফিসার ও ফিল্ড সুপারভাইজার ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও কারিগরি প্রশিক্ষকগণের কার্যক্রম তদারকী করেন এবং কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সহায়তা করেন।

 

সেবাদান কেন্দ্র:

 ৪৯৫ টি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়;

 

কার্যাবলি:

  • গ্রাম নির্বাচন;
  • গ্রাম জরিপ;
  • লক্ষ্যভূক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সংগঠিত করে দলগঠন;
  • গ্রাম/মহল্লা কমিটি গঠন;
  • স্বাক্ষর জ্ঞান প্রদান;
  • বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ; (পরিবার পরিকল্পনা, বাড়ীর আঙ্গিনায় সব্জিচাষ, সামাজিক বনায়ন, নিরাপদ পানি পান, স্যানিটেশন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পুষ্টি সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভবতী মায়ের যত্ন, শিশুদের টিকা দান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন ও যৌতুক বিরোধী সচেতনতা, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, শিশুদের স্কুলে প্রেরণ ইত্যাদি)